‘ভালোবাসার মানে’ তারিখঃ
১৪/০৫/১৮
ভালোবাসা! কতোইনা পবিত্র নাম। আসলেই কি আমরা এই ভালোবাসার পবিত্রতা রক্ষা করতে
পারছি?
আসুন দেখি,আগেকার যুগে ভালোবাসার মানে ছিলো
এক পবিত্র বন্ধন। ভালোবাসি তো তারেই বাসি,অন্য কেউ তো দূরেই থাক!হোক না সে যেমনই। আর এখন? আমরা হয়ে
গেছি সৌন্দর্যের পিপাসু,তার চাইতে অন্য কাউকে ভালো লাগলো তো শুরু হয়ে গেলো তাকে
ইম্প্রেস করার কার্যকলাপ। আসলে ভালোবাসা বলতে প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজনের মাঝে বিয়ের পর
ভালোবাসার সম্পর্ককে বোঝায়, বিয়ের আগেও ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো যায় তবে সেইটা তো আর
সেই পবিত্রতম ভালোবাসাটা থাকে না। এখন ভালোবাসা হয়ে গেছে খেলার মতোন, ক্লাস ২ এর
বাচ্চা থেকে শুরু করে ১০ এর বাচ্চারাও প্রেম করে,How funny! তাইনা! তারা
কি আসলেই ভালোবাসার মানেটা বুঝে? কখনোই না,কারণটা তাহলে খুলেই বলি,ভালোবাসাটা এখন প্রতিযোগিতায়
পরিণত হয়েছে। দোস্ত,প্রেম করছিস? আমাকে করিয়ে দেনা একটা প্লিজ।
এ যেন ভালোবাসা না খেলনার আবদার যে আব্বু আব্বু আমার না ওই খেলনাটা লাগবেই।
এবার ক্লাস ২-১০ বা ইন্টার এর প্রেমের
শুরু আর শেষটাও খুলেই বলি।
প্রথম প্রথম বন্ধু ওরেনা আমি খুব ভালোবাসি,ওকে ছাড়া আমি
বাঁচুম না,ওরে না পেলে মরেই যাবো। ওইও আমাকে খুব কি যেন বলে ও হ্যাঁ
"লাভ" "লাভ" করে। তারপর চলে কুতুর কুতুর প্রেমের আলাপ,জানু সোনা,মোনা আরও কতো
কি! আসলে প্রেম ট্রেম করিনি তো,এইসব বাবু সোনা নামগুলা মুখস্থ নাই।
তার লগে রিকশায় ঘুরাঘুরি,ফুচকা খাওয়া,শপিং উফ আরো
কতো প্যারা। আরও ৪/৫ ঘন্টা ফোনে কথা তো আছেই।
তারপর যখন মেয়েটার আবেগকেন্দ্রিক
ভালোবাসাটুকু শেষ হয়ে যায় তখন ছেলেটা মেয়েটার সাথে রাস্তা আগলে কিছুক্ষণ কথা বলতে
চাইলে ছেলেটা হয়ে যায় ইভটিজার। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতেও মুখে আটকাবে না যে ছেলেটা
নাকি তাকে রেগুলার স্কুলে এসে ডিস্টার্ব করে যায়। ছেলেটা আর রাস্তা ঘাটে অন্য মেয়ে
পায়না তো কস্ট করে তার স্কুলে ইভটিজিং করতে যায়।
আর ব্রেকাপের পর ছেলেটার এক্সপ্রেশন
এইরকম:
আর বলিস না দোস্ত,মেয়েটার
চরিত্র আগে থেকেই খারাপ,আরো না জানি কার কার সাথে প্রেম করসে,না জানি কার
কার সাথে নিজের চরিত্র নষ্ট করসে,বাঙালি জাতি তো এখন আবার অনেক উন্নতি করসে এখন চরিত্র নস্ট
না,এখন হয় লিটনের ফ্লাটের রেগুলার কাস্টমার। আর মেয়েটা?
মেয়েটাও তো ছেলেটাকে দুঃচরিত্র করতে ছাড়ে
না। নিজেরাই ভাবুন যেই ছেলেটাকে নিজের থেকেও একদিন ভালোবেসেছিলো ছেলেটা,তাকেই কিভাবে
এতোটা দুস্চরিত্রা বানিয়ে দিলো। এইটাই কি ভালোবাসা!
আরেকটা কথা তো বলাই হয়নি,ছ্যাকা খাওয়ার
কথাটা,ছ্যাকা খেয়ে ছেলে হয়ে যায় নেশাখোর,গাঞ্জা,সিগারেট তার
নিত্যদিনের সঙ্গী, তার খারাপ হওয়ার কারণ নাকি তার সেই এক্স প্রেমিকা, সে নাকি তার
খারাপ হওয়ার মূল কারণ। আরে ভাই তোর খারাপ হওয়ার কারণ তোর সেই আবেগের প্রেমিকা না,তুই নিজেই। প্রেমে
ছ্যাকা খেয়েই যদি সবাই নেশাখোর হতো তাহলে ঘরে ঘরেই তোর মতোন গাঞ্জাখোর হতো। এসব
আবেগ ছাড়া আর কিছুই নাহ। আর মেয়েটা?সেও তার এক্স এর ভালোবাসার কস্ট ভুলাতে আরেটা প্রেম করে,এতে নাকি তার
কস্টটা কমবে,কি বুদ্ধি মাইরি! তাইনা!
এর শেষটা কোথায়? আরে এইটা চলতেই থাকবে,কস্ট ভুলানোর
প্রয়াসে।
কোনোদিন হয়তো জানার চেষ্টাও করবে না যে,ভালোবাসা
জিনিসটা আসলে কি?
বিঃদ্র: সবাইকে উদ্দেশ্য করে কিন্তু বলা
হয়নি।

0 Comments