‘মধ্যবিত্ত’
তারিখঃ ১৯/১১/১৮
মধ্যবিত্ত পরিবারের কষ্টগুলো থাকে পরিবারের সকলের মনের মাঝেই সীমাবদ্ধ।আসলে
পারিবারিক সমস্যার থাকা সত্ত্বেও কিছুই করার থাকেনা তাদের। তারাও কি করবে? কিই বা করার
আছে তাদের।বাবার সামান্য বেতনের চাকুরী তা দিয়ে কষ্ট করে সংসার চালানো ছাড়া সেই
পরিবারের মায়েরও কিছুই করার নেই। ছেলেমেয়েগুলোকেও কষ্টগুলি স্বীকার করে নিজের মনের
ইচ্ছাগুলোকে দমিয়ে রাখতে হয়। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে বন্ধুদের বিলাসবহুল
রেস্টুরেন্টে ঢুকতে দেখে বাসা থেকে Urgent
Call আসার মিথ্যে বাহানা করতে হয়। মধ্যবিত্ত
পরিবারের ছেলেদের বেশীরভাগেরই গার্লফ্রেন্ড থাকেনা,কেননা তাদের একটাকা খরচ করতে হলেও
অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হয়।গার্লফ্রেন্ডদের চাই বিলাসবহুল জীবনযাপন। আর সেই ছেলেটি
যদি এইভাবে চলতে যায় তাহলে তার সামান্য পকেটমানির টাকাটাও শেষ হয়ে যাবে,আর তাছাড়া
বাবার কাছে টাকা চাইতেও তাকে ইতস্তত বোধ করতে হয়। কেননা বাবারও কিছু করার নেই।
প্রতি বছর ঈদে নিজের নতুন কাপড়ের চিন্তা না করে সবার আগে ছেলে মেয়ের চিন্তা করতে
হয়,নিজের ইচ্ছেগুলোকে একটি হাসির মাধ্যমে বিলিয়ে দিতে হয় তাকে। স্যান্ডেল
ছিঁড়ে গেলেও তাতে সেলাই করে আরও একবছর অনায়াসে চালাতে মধ্যবৃত্ত পরিবারের বাবারাই
পারে।মাঝে মাঝে আর্থিক অবস্থার কারণে এসব পরিবারের অবস্তা হয়ে ওঠে নিম্নবৃত্ত
পরিবারের চাইতেও খারাপ। কোন কারণে মাসের আগে বেতনের টাকা শেষ হয়ে গেলে শুরু হয়ে
যায় পরিবারে টানাপড়া। তাদের জীবনটা যেন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।তারা তাদের মনের কথাগুলো
কারো কাছে প্রকাশ করতে পারেনা। সারাজীবন এই মধ্যবিত্ত নামের অভিশাপকে বহন করতে
হয়...
0 Comments