ভালোবাসা গ্যারান্টেড সম্পর্ক নয়, এটি কমিটেড। টিকে যাওয়া সম্পর্ক আজীবন টিকে যাবে— এই ধারণা ভুল। সম্পর্ক কেন টেকে? কিংবা, সম্পর্ক কেন টেকে না?
অথবা, একটি সম্পর্ক সুন্দরতমভাবে দীর্ঘকাল টিকিয়ে রাখা যায় কীভাবে?
০১ দু'জনের পক্ষ থেকেই একইমাত্রার ভালোবাসা থাকতে হবে। এটি বিনিময় নয়, পারস্পরিক উপহার।
০২. গোপনীয়তা এবং মিথ্যে পরিহার করতে হবে। এ-দু'টি অন্যতম প্রধান কারণ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার।
০৩. যোগাযোগ থাকবে সম্পূর্ণ খোলামেলা, যখনতখন। দূরত্বের অনুভূতি দেওয়া যাবে না।
০৪. বিচ্ছেদ বা ব্রেকাপ বা ডিভোর্স শব্দগুলো নিয়ে মজার ছলেও আলাপ করা যাবে না। এটি নিগেটিভ প্রভাব ফেলে সম্পর্কে।
০৫. ভুল দেখিয়ে দিতে হবে, ভুলকে বলা যাবে না— "ঠিকাছে।" না-দেখানোটা উদাসীনতা, যা মারাত্মক!
০৬. গৌরব এবং ইগো সরিয়ে রাখতে হবে। এ-দু'টি পার্টনারের জন্য অপমানজনক।
০৭. "স্যরি" বলতে হবে তখনই, যখন 'স্যরি' মানে প্রকৃতপক্ষেই স্যরি অনুভব করা। ভণিতা পরিত্যাজ্য।
০৮. পার্টনারের মুড বুঝতে হবে, বোঝার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে। অবহেলা ও জবরদস্তি সম্পর্ক ভাঙার অন্য দু'টি প্রধান কারণ।
০৯. ঝগড়া হবেই, কিন্তু এর রেশ সারাদিন ধরে রেখে দেওয়া যাবে না। আগে-ভুল-বুঝতে-পারা-জনই দায়িত্বশীল।
১০. সেরা পার্টনার হওয়ার চেষ্টা করা যাবে না, চেষ্টা করতে হবে— সঠিক পার্টনার হওয়ার। নিখুঁত বলে কিছু নেই।
১১. শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা।... পারস্পরিক শদ্ধাবোধ ছাড়া সম্পর্ক একমুহূর্তও টিকবে না। শ্রদ্ধাহীনতা মানেই— সম্পর্ক নেই, বিদায়। এটিই সম্পর্ক ভাঙার প্রধানতম কারণ।
১২. পরস্পরের সহযোগী হতে হবে। সাথী। বন্ধু। আশ্রয়ের বুক। সম্পর্ক ও বাজারের মধ্যে পার্থক্য এখানেই।
১৩. সুখী সময়ে পাশে থাকা এবং দুখী সময়ে পাশে থাকায়, একবিন্দুও পার্থক্য রাখা যাবে না। সম্পর্ক মানেই— একসাথে যুদ্ধ, একসাথে জেতা বা হারা। একসাথেই।
১৪. কক্ষনোই, কক্ষনোই, উভয় পরিবারের বাকিদের এবং উভয়ের বন্ধু-আত্মীয়দের, কাউকেই, দু'জনের সম্পর্কের মধ্যে টেনে আনা যাবে না। এটা সম্পর্কটির ভাঙনের স্পষ্ট লক্ষণ।
১৫. সবসময়ই চেষ্টার সর্বোচ্চটা করতে হবে— যেন উভয়ের একসাথে কাটানো প্রত্যেকটি মুহূর্তই সুন্দরতম ও রুচিশীলতায় ভরা থাকে; সস্তা হওয়া যাবে না, সহজলভ্য হওয়া যাবে না, আচারে-আলোচনায়।
হ্যাঁ, সম্পর্ক গ্যারান্টেড নয়, সম্পর্ক কমিটেড।
Salah Uddin Ahmed Jewel
কিউডাব্লিউ।
0 Comments