সীরাতের প্রাচীন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ:
.
প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে আমরা আধুনিক অনেক সীরাতই হয়ত পড়েছি। কিন্তু সেগুলো কি পড়েছি, যেগুলো লেখা হয়েছে নবীযুগের সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ে? লেখকদের মৃত্যু সাল অনুযায়ী কিছু প্রাচীন সীরাতের তালিকা নিচে দেওয়া হলো, যেগুলো বাংলায় অনূদিত হয়েছে:
.
লিখেছেন: সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)
বিশেষত্ব: এটাকে সবচেয়ে প্রাচীন সীরাতগ্রন্থ বলা হয়। কারণ, এর লেখকের জন্ম নবিজির ইন্তিকালের মাত্র ৭২ বছর পরেই। এর আগে নবিজিকে সম্পর্কে যত তথ্য ছিল, সেগুলো হাদীসের বিভিন্ন অধ্যায়ে পাওয়া যেত। ইবনে ইসহাক সেসব বর্ণনা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি পূর্ণাঙ্গ সীরাতগ্রন্থে রূপ দিয়েছেন।
.
লিখেছেন: সিরাতে ইবনে হিশাম
বিশেষত্ব: সীরাত লেখার শুরুটা ইবনে ইসহাক রাহিমাহুল্লাহর হাত ধরে হলেও একে আরো বিশুদ্ধভাবে সামনে নিয়ে আসার কৃতিত্ব “সিরাতে ইবনে হিশাম”-এর। সাবাহ পাবলিকেশন ৪ খণ্ডে এর অনুবাদ প্রকাশ করেছে। তাহকীক-তাখরীজ ও টীকা-সংবলিত পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ।
.
লিখেছেন: জাওয়ামেউস সীরাহ
বিশেষত্ব: মুসলিম ইতিহাসে স্পেন পরিচিত ছিলো ‘আন্দালুস’ নামে। মুসলিম শাসনামলে আন্দালুস ছিলো শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে ইউরোপের তীর্থস্থান। সেই বিখ্যাত শহরের বিখ্যাত আলেম ছিলেন ইমাম ইবনু হাজম। তাঁর লেখা এই জাওয়ামেউস সীরাহকে বলা হয় অল্পকথায় পূর্ণাঙ্গ নবীজীবন। শত শত বছর ধরে এটি সীরাতশাস্ত্রের একটি কালোত্তীর্ণ প্রামাণ্য গ্রন্থ হয়ে আছে।
.
লিখেছেন: সীরাতুন্নবী সা.
বিশেষত্ব: যারা বড় বড় সীরাতগ্রন্থ পড়ার সুযোগ পান না, তাদের জন্য ইমাম তাবারির এই বইটি হতে পারে দারুণ একটি উপহার। বাংলায় অনূদিত এই বইটির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, সহজ-সরল ও সাবলীল বর্ণনা। বাসায় তালিম করার উপযোগী। এর প্রতিটি বর্ণনার তাহকিক ও তাখরিজ করা হয়েছে, মান যাচাই করা হয়েছে।
বইগুলো অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://www.wafilife.com/search?tag=sirater-pracin-grontho
বইগুলো অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://www.wafilife.com/search?tag=sirater-pracin-grontho




0 Comments