৮) আলি নাসর আবুলাবান ও তার স্ত্রী আনা আবুলাবান টিকটকের এক হ্যাপী কাপল। বাস করত যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোতে। নানান সময় এই স্বামী-স্ত্রী নানান কমেডি ও কাপল ভিডিও পোস্ট করতো। একটা পাঁচ বছরের মেয়ে ছিলো। তারা নিজেরাই নিজেদের নাম দিয়েছিলো 'ড্রামা ফ্রি-কাপল'।
তবে হঠাতই শুরু হয় ড্রামা। তার স্ত্রী আনা, রেবার্ন কার্দেনাস ব্যারন নামে এক শ্বেতাঙ্গ যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। নাসরের কাছ থেকে আলাদা হতে চায়। নাসর সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের কন্যার আইপ্যাডে এক স্পাই অ্যাপ ইন্সটল করে রাখেন। সেখান থেকে তিনি আনা ও ব্যারনের কথপোকথন শুনতে পেতেন।
২০২১ সালের ২১শে অক্টোবর, যখন আনা ও ব্যারন সোফায় ছিলো, তখন পিস্তল হাতে বাসায় ঢোকেন নাসর। গুলি করে হত্যা করেন স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে।
এরপর তার কন্যাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
বর্তমানে তিনি বিচারের অপেক্ষায় আছেন।
৯)
বাংলাদেশের ঘটনা।
দুই ভাই। বড় ভাই প্রবাসী। ছোটজন ঢাকায় মেসে থেকে পড়াশুনো করে। হঠাৎ একদিন সে অসুস্থ হয়ে পড়লো, একেবারে শয্যাশায়ী। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে আসল।
বাসায় তার ভাবী, মানে সেই প্রবাসীর স্ত্রী তার সেবা-যত্ন করতে থাকে। তার সেই ভাবীও দীর্ঘদিন একা ছিল, দেবর বাড়িতে ফেরায় সেও খুশি ছিলো। একমনে দেবরের সেবা করতে লেগে গেল। তাকে রান্না করে খাওয়ানো, ঔষধের ব্যবস্থা কর - সব।
তারপর যা হবার তাই হলো। দুজন জড়িয়ে পড়লো অবৈধ সম্পর্কে।
এদিকে সেই প্রবাসীর বাড়িতে ফেরার সময় হয়ে এলো। তারা দুজন ভাবলো, এই সম্পর্ক তার ভাই বাড়িতে আসলে হুমকিতে পড়বে। তাই তারা এক প্লান করে।
প্লান অনুযায়ী, সেই ভাই বাড়িতে আসার একদিন পর কৌশলে তাকে হত্যা করে। তারপর চলে যায় আত্মগোপনে। পরবর্তিতে লাশের সুত্র ধরে পুলিশ দুইজনকে খুঁজে বের করে। সামনে আসে এই নোংরা গল্প।
ঘটনাটি ২০২১ সালের দিকে পত্রিকায় পোস্ট করা হয়েছিল। আবার লিংক পেলে যোগ করে দেওয়া হবে।
এই টপিকে আমাদের একটা লেখা আছে। কমেন্টে লিংক থাকবে।
১০)
টেক্সাসের ক্যারি বার্মিংহাম নামক এক ব্যাক্তির স্ত্রী পরকীয়া করে আসছিলো। ভদ্রলোক তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন ফ্যামিলির জন্য। সারাজীবন পরিশ্রম করে জমিয়েছিলেন প্রায় দুই কোটি টাকার মত। তার স্ত্রী প্যাট্রিসিয়া সেই টাকার সমস্তটা চুরি করে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে তুলে দেয়।
স্ত্রীর পরকীয়ার খবর জেনে ভেঙ্গে পড়েন বার্মিংহাম। ওদিকে তার স্ত্রী দুঃখিত হওয়া দুরের কথা, যা তা বলে অপমান করতে থাকে স্বামীকে। একপর্যায়ে যা ঝগড়ায় রুপ নেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একদিন প্রায় আধাঘন্টা ঝগড়ার পর হাতে শটগান তুলে নেন বার্মিংহাম। স্ত্রীকে বলেন, "তোমার এখন জিসাসের সাথে দেখা করার সময় হয়েছে।"
এরপর তিনবার গুলি করেন। মারা যায় প্যাট্রিসিয়া।
ঘটনা আদালতে যায়। বার্মিংহামের উকিল বলেন,"প্যাট্রিসিয়া নির্দোষ বার্মিংহামের প্রতি যা করেছে তার তুলনা নেই। সে তার লাইফ শেষ করে দিয়েছে, জমানো সব টাকা চুরি করেছে এবং ফ্যামিলিটা ভেঙ্গে দিয়েছে।"
আদালত বুঝতে পারে। গত মাস অর্থাৎ মার্চে বার্মিংহামের মাত্র ১০ বছরের শাস্তি হয়। তবে ভালো ব্যবহার করলে তিনি ৫ বছরেই প্যারোলে মুক্তি পাবেন।
বার্মিংহামের ভিডিওটা কমেন্টে।
0 Comments