"ফিমেল সাইকোলজি"

 

১। ফিমেল সাইকোলজি পড়তে গেলে যেটা আপনাকে সবচেয়ে বেশীবার শুনতে হবে সেটা হলো, নারী সমাধান চায় না। সে যেটা চায় সেটা হলো, পুরুষ সমস্যাটাকে অ্যাড্রেস করুক। তার সমস্যার কথা শুনুক।
পক্ষান্তরে পুরুষ চায় সমাধান করতে। কিন্তু সমস্যা যত বড়, সমাধান তত রুক্ষ। তাই নারী কেবল সেই সমস্যার চর্চা করে যেতেই ভালোবাসে।

অর্থাৎ, সমাধান না করে কেবল সমস্যা নিয়েই বিচিং করা মেয়েলী স্বভাব। আর এটা আমাদের তরুণদের মধ্যে মারাত্মকভাবে ঢুকে গেছে।

এভারেজ শিক্ষিত তরুণ, সে বলে সে অ্যান্টি ফেমিনিস্ট। ওইসব মিমসে লাইক দেয়। ভেবে নেয়, নারীবাদি ঠেঙ্গিয়ে দিলাম।
যেই মুহুর্তে আপনি বলবেন, পাবলিক প্লেসে নারী পুরুষের স্পেস আলাদা করতে হবে, প্রচলিত স্কুলে মেয়েদের পাঠানো যাবে না - সে রেগে যাবে। আপনাকে গোড়া বলবে। ধর্মও টেনে আনবে, "ইসলাম এত কঠিন না"।
অথচ আপনি সবচেয়ে রিয়েলিস্টিক সমাধানের কথা বলেছেন।

সে সমাধান চায় না, সমাধানটা রুক্ষ। সে একজন মেয়েলি পুরুষ।

২। দেশের অ্যান্টি-ফেমিনিস্ট গ্রুপগুলোতে এমন কমেন্টও দেখবেন, "তালেবান ঠিকই আছে, কিন্তু মেয়েদের স্কুলে যেতে দিচ্ছে না কেন?"

ছেলেটা জানেও না, আফগানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ না। যেটা নিষিদ্ধ সেটা হলো সেকুলার স্কুলে যাওয়া।
"ইসলাম তো নারীর শিক্ষার অধিকার দিয়েছে", "স্কুল বন্ধ করা অনৈসলামিক" - কথাগুলো টেকনিকালি ঠিক হলেও জাতে উঠতে এগুলো ব্যবহার করে আপনি ফেমিনিস্টদেরই সার্ভ করছেন।

৩। ফেমিনিজম বেশি পুরোনো না। সত্ত্বর দশকের আগে কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা একটা সুডো মতবাদ। সুডো মতবাদ চাপিয়ে দিতে হয়। চাপিয়ে দেওয়া জিনিস টেকে না।

উদাহরণ দিই। আমাদের এখনকার তরুণেরা ছোটবেলায় নারী-অধিকার, নারী-শিক্ষা নিয়ে বিস্তর আলাপ শুনেছে, আমিও শুনেছি। রেডিওতে বাল্যবিয়ে নিয়ে আলাপ শুনে কত লজিকাল মনে হত!
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগত এনজিওর বইগুলো, কারণ তাতে রঙ্গিন ছবি থাকত।

কিন্তু এই ছোটবেলার রংচঙা আইডিওলজি একজন তরুণের কাছে ইনভ্যালিড হয়ে যাচ্ছে। এবার সে নিজেই ফেমিনিজমের ভিক্টিম। সে দেখছে, সরকারী ফেমিনিজম নারী কোটার মাধ্যমে তার জব কেড়ে নিয়েছে। সে এখন আর নারীবাদি নয়। ছোটবেলায় যাকে পটেনশিয়াল ফেমিনিস্ট ভাবা হতো, ২০ বছর ধরে ফেমিনিজম গিলেছে, সে এখন এই সর্বনাশা মতবাদের আসল রুপ জানে।

এরকমটা পুরো দুনিয়ায় ঘটেছে। নাইন্টিজের পশ্চিমা ছেলেরা ছোটবেলায় পড়েছে, নারীবাদ মানে নারী পুরুষের সমান অধিকার, কিন্তু সে ভুয়া সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট মামলার ভিক্টিম হয়ে সব হারিয়েছে।

এখানেই আসে আমাদের সাথে পশ্চিমা ছেলেদের সাথে আমাদের পার্থক্য। পশ্চিমা ছেলেটা দিশেহারা, সে জানে ফেমিনিজম এখানে কালপ্রিট, কিন্তু কিছু করতে পারছে না। যেখানে "জেন্ডার মাত্র দুটো", "পুরুষ নারীর চেয়ে শক্তিশালী" বলার কারণে জেলে যেতে হয় (অনেক ঘটনা আছে), সেখানে তার সামনে স্পষ্ট উপায় নেই। তাই ইনসেল হওয়া ছাড়া উপায়ও নেই।

কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তান কিংবা নাইজেরিয়ার ছেলেদের এর সমাধান আছে। তার ধর্ম একদম ইফেক্টিভ সলিউশন দিয়েছে। তরুণদের চরিত্রের ক্রাইসিস, মাত্র ২০ বছর পিছনে গেলেই এর সত্যিকারের সমাধান আছে।

সে ওখানে যেতে চায়। একটা বিদেশী-সুডো মতবাদ সে মানবে না।

('নারীবাদের প্রতিষেধক' নামে একটা লেখার প্লান ছিল। অনেক সময় লাগছিলো, ওরকম চললে শেষ করাই হত না। তাই এখন থেকে কয়েক ভাগে পোস্ট করা হবে। এটা তার প্রথম পর্ব)

___________
✍ আহমাদ খান

ছবিঃ ইন্দোনেশিয়ার নারীবাদবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার। এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম নারীবাদবিরোধী আন্দোলনের জন্ম এখানে।

Post a Comment

0 Comments