Doremon, Shinshan, Ninja Hattori এগুলো ভারত উপমহাদেশের বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় কার্টুন। বাচ্চারা এসব কার্টুনকে খুব উপভোগ করে। আরো কার্টুন আছে কিন্তু বেসিক্যালি এই ৩ টাকেই ফোকাসে রাখা।
.
এই ৩ টা কার্টুনের একটা কমন সিনারিও হচ্ছে এখানে মূল যে চরিত্র থাকে Nobita, shinshan, Kenechi এরা সবাই তাদের বিপরীত জেন্ডারের পিছনে ঘুরঘুর করে, তাদের কে খুশি করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে।
.
তাদের বয়স কিন্তু ১০-১২ বছরের মধ্যে। এ বয়সকে নিষ্পাপ হিসেবে গণ্য করে। এ বয়সে ছেলে-মেয়ে একে অপরকে ভালো লাগতে পারেই না, এ অসম্ভব। কিন্তু গবেষণা কি বলছে? "According to the the American Academy of Pediatrics (AAP), girls generally begin dating as early 12 and a half and boys typically begin dating by 13 and a half but they stress that it's not in the way most parents might imagine" [1]. বুঝা যাচ্ছে বয়ঃসন্ধিকালের সময় থেকেই ছেলে
মেয়েদের প্রতি ও মেয়ে ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে।
উক্ত কার্টুন গুলো তে মেইন চরিত্রের ভূমিকা থাকে অপজিট পার্টনারের মন জিতা, তাকে খুশি করা। নবিতা, কেনেচি কে দেখা যায় তারা তাদের ফিমেল 'বন্ধু' কে পটাতে ব্যাতিব্যাস্ত থাকে, কিভাবে তার মন জোগানো যায়। আর সে মেয়ে পার্টনার স্বভাবগতভাবে ভাব নিয়ে থাকে কারণ মেয়েদের ডিএনএ-তে তা মজুদ থাকে। They need attention in order to survive.It's in their DNA to want to capture the desire of men." [2]
প্রাণীকুলের মধ্যে নারীদের এই বৈশিষ্ট্য আছে যে তারা ছেলেদের আকর্ষণ করবে তাদের রূপ দ্বারা, এতে বংশবৃদ্ধি করবে।
.
এটি নরমাল কিন্তু এই নরমাল বৈশিষ্ট্য কে এবনরমাল বানাচ্ছে সমাজের কিছু সি-*-ম্প টাইপ ছেলেরা যাদের প্রধান ও অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে মেয়েদের সাথে থাকা, তাদের সাথে উঠবস করা, ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি।
.
এদের লাইফ সাইকেল যদি বানাই তাহলে এমন দাঁড়াবে,
'জন্ম মেয়েদের মন জয় করা মৃত্যু'৷ অথচ এর বাইরেও যে জীবন আছে তা জানেই না। জানলেও বুঝে না কারণ নারীর নেশা লেগে গিয়ছে।
.
এই নেশা লাগানোর মূল কারিগর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। ১০ টা মুভি পিক করলে এর মধ্যে ৯.৯৯৯ টায় মূল উপাদান প্রেম। নায়ক কিছু করে না, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়। একদিন এক অপ্সরা মেয়েকে দেখে, তার জন্য দিল বাগ বাগ হয়ে যায়।
.
এখন তার মূল ও প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় কিভাবে তাকে আপন করে নিতে হয়। আর এই আপন করে নিতে সমাজ, পরিবার সবার এগেইন্সট গিয়েও হলেও করে। এ স্টেরিওটাইপ স্টোরি দেখে হাজারো যুবকের মনে বাসনা তৈরি হয় এরকম প্রেম কাহিনী লিখে অমর হওয়ার। অনেকে তো আবার মেয়েকে খোদার আসনে বসিয়ে দেয় আর লাইন বলে, ' তুজ মে রাব দিখতা হ্যে, ইয়ায়া ম্যে কেয়া কারু'
আর মেয়েরাও এ এটেনশনের ফায়দা লুটে। যে হালকা সুন্দরী সেও নিজেকে এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় কারণ এটেনশন কার না পছন্দ আর যদি সেটা বিপরীত জেন্ডার থেকে হয়।
.
হাজারো রকমের কসমেটিক, দামী দামী কাপড় ইত্যাদি কিনা হয় শুধু মাত্র পার্টনার কে ইম্প্রেস করার জন্য, তার থেকে
'তোমাকে আজকে অত্যাধিক সুন্দর লাগছে' এই কম্পলিমেন্ট পাওয়ার জন্য।
.
ছেলেদের এরকম এটিটিউড, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই মুখ দিয়ে লালা পরার অভ্যাস তাকে আরো বেশি এনার্জেটিক করে তুলে, পুঁজিবাদের বাজারে আরো বেশি বিকিয়ে দিতে, আরো বেশি নিজের দেহের চড়া দাম হাকাতে।
.
দিনশেষে কি হয়, ছেলে বা মেয়ে কেউই সুখী হয় না, হতাশা নামক ফেইক চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে রাখে। এই মেয়েদের বয়স যখন ৩০ ছুইছুই তখন মার্কেট ভেলু কমতে থাকে আর কেউ ফ্লার্ট করে না পাত্তা দেয় না তখন এক বয়ান ছাড়ে 'All mens are dog'
সিদ্ধান্ত আপনার, মেয়েকে নিজের খোদা মনে করে সব বিলিয়ে দেয়া নাকি আল্লাহর দেখানো পথে থেকে হালাল জীবনসঙ্গীর সাথে সুখে-শান্তিতে থাকা।
0 Comments