সাখাওয়াত সাহেব কহিলোঃ"এই শীতের মুহুর্তে প্রতিটা নারীর উচিত তার সঙ্গী থেকে সতর্ক থাকা"
আমি জিজ্ঞেস করলামঃ"কারন কি?"
সাখাওয়াত সাহেব খুব আবেগী হইয়া বললেনঃ"এই শীতের সময়টাতেই মেয়েরা বৈবাহিক ধর্ষনের সীকার হয়"।
আমি অবাক হইয়াই জিজ্ঞেস করলামঃ"বৈবাহিক ধর্ষন? সেটা আবার কি?"
সাখাওয়াত সাহেব বললোঃ"একটা মেয়ের অনিচ্ছা থাকার পর ও জোর করে তার সাথে ইয়ে করা"
আমি বললামঃ"সেটাতো পৃথিবীর সবাই ই করে এমন কি আপনার বাবা থেকে শুরু করে আমার বাবাও। তো এটা ধর্ষন হবে কেন?"
সাখাওয়াত সাহেব বললোঃ"আজিব ব্যাপার!এটাকে আপনি ধর্ষন ভাবেন না কেন?"
আমি বললামঃ"মেয়েরাতো জন্মগতই লাজুক।আপনি আপনার বউকে যখন ইয়ে করার ইচ্ছে পুষন করেন অবশ্যই আপনার বউ আগে আগেই সব দেয়না অবশ্যই সহবাসের ১ম পার্টই হলো কনভিন্স করা।যেটা ছেলেরা মেয়েদের করে সেটা সহবাস হউক আর প্রেমিকা হউক।
তো যখনি আপনি আপনার বউয়ের সাথে সহবাস করবেন অবশ্যই আপনার বউ ১মে লজ্জা থেকে লাল হয়ে না করবে-পরে আপনি তাকে বিভিন্ন রোমান্টিক কথা বলে কনভিন্স করতে চাইবেন-এতে হয়ে গেলে আপনি শুরু করবেন -তবুও যদি আপনার বউ রাজি না হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ২য় ধাপ "আদো স্পর্শ " দিয়ে ট্রাই করবেন -এতে নারীটি অবশ্যই রাজি হবে।
আর যদি না হয় তাহলে দুজনে মিমাংসা করে নিবে।
এখন আপনি যদি ১ম আর ২য় ধাপ কে ধর্ষন বলেন তাহলে পৃথিবীর সকল পুরুষ ধর্ষক এমনকি আপনার বাবাও"।
সাখাওয়াত সাহেব বড্ড রাগ হয়ে বললেনঃ"অনেকে তো জোর করেই করে।"
আমি বললামঃ"শুনুন। বিয়ের পর জামাই বউয়ের মাঝে দায়িত্ব বোধ আর সম্মান এই দুটোই থাকতে হয়।
কে জোর করে করলো আর করলো না সেটা বড় কথা নয়।
বড় কথা হলো তাদের মাঝে দায়িত্ব বোধ আর একে অপরের মাঝে সম্মানবোধ আছে কিনা।একজন পুরুষ চাইবেই একজন নারীর কাজ থেকে যৌন সুখ নিতে সেটা বৈধ ভাবে বিয়েটেই হয়।এখন নারীটির দায়িত্ব বোধ থেকে নারীটি চাইবেই তার জামাইয়ের এই চাহিদাটা পূরন করতে। আর পুরুষেরও দায়িত্ব বোধ থেকে নারীটির ইচ্ছে না থাকলে জোর করা থেকে বিরত থাকা।আদতে বিবাহ সম্পর্কে জোর করার কিছু নেই।ওটা "সেক্রিফাইস" এ ফেলতে হয়।বৈবাহিক রিলেশনে সহবাস কমন বিষয়। এটাতে আপনি "ধর্ষন" এর সঙ্গা বসাবেন কি করে?ঠিক কোন দিক থেকে?ঘরে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নাকি?"
সাখাওয়াত সাহেব আরো চেইতা গেলেন।
আমি বললামঃ"চেইতেন না।
সেদিন দেখলাম চৈতালি কে আপনি মেসেনজারে নক করছেন এবং রাস্তাতেও হেটে হেটে কথা বলছেন যদিও চৈতালি আপনাকে না করে এসব করতে।"
সাখাওয়াত বললোঃ"আমি চৈতালিকে পছন্দ করি তাই আমি ওরে পটাইতাছি"
আমি বললামঃ"তাকে বার বার ফোর্স করে পটানো ঠিক কোন "ধর্ষনের" পর্যায়ে পড়ে?"
সাখাওয়াত সাহেব বললোঃ"এটা ধর্ষন হবে কেন?"
আমি বললামঃ"এইযে তাকে আপনি "প্রেমের" জন্য ফোর্স করতাছেন"।
সাখাওয়াত সাহেব বললোঃ"একটা মেয়েকে প্রেমে ফেলার জন্য অবশ্যই তাকে কনভিন্স করতে হবে।নয়তো মেয়েটি পটবে কেন?"
আমি বললামঃ"বাহ! আর বৈধ ভাবে সমাজ পরিবার সাক্ষী রেখে একটা মেয়ের সারাজীবনের দায়িত্ব নিয়ে একটা পুরুষ সেই মেয়েটিকে দিয়ে নিজের চাহিদা মিটাতে পারবে না সহবাসে আসার জন্য পটাতে পারবে না।কি সুন্দর লজিক।"
সাখাওয়াত সাহেব রাগ হইয়া চলে যেতে চাইলেন।
আমি বললামঃ"আফিফার সাথে রিলেশনে থাকার সময় দেখতাম তার হাত ধরতেন যদিও আফিফা লজ্জা পেয়ে তা দিতো না তবুও এমনকি জড়িয়ে ধরতেন যদিও আফিফা লজ্জা পেয়ে আপনাকে দূরে সরিয়ে দিতো।ওটাও তো ধর্ষন ছিলো"।
সাখাওয়াত সাহেব রাগে লাল হইয়া বললোঃ"আরে মিয়া আমরা রিলেশনে ছিলাম।রিলেশনে হাত ধরা,চুমু,জড়িয়ে ধরা কমন।একটা মেয়ে লজ্জা পাবেই তাতে কি?তারপরও কি সে আমাকে "সেক্রিফাইস" করেনি?"
আমি বললামঃ"বাহ! কিন্তু যুক্তি পাল্টিয়ে যায় বিবাহ করা বউয়ের ক্ষেএে।আসলে আপনার মত মুক্তমনা কাঙালিদের নারীকে ফ্রীতে ভোগ করা ছাড়া আর কোনো ধান্ধা দেখিনা। "
সাখাওয়াত রাগ হইয়া চলে গেলো।
©মানিক
0 Comments