আপুর বায়োডাটা দেখে অনেকগুলো বিষয় ভালো লেগেছে। পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম এই যোগেও এমন মেয়ে হয়! হাই মাশাআল্লাহ। পড়ার পর মনে হচ্ছিল, সে যেন বলছে, সে আমাকেই বিয়ে করতে চায়। আহা কী সুন্দর মনের একজন মানুষ। বলছিলাম হ্যাঁ সাদমান, এই তোমার কাঙ্খিত সেই মহারানী। চলো আর দেরি কিসের, এবার বিয়েটা হোক তাহলে।
বায়োতে আপু লিখেছেন, ইলমেদ্বীন শেখার আগ্রহ তার আমরন থাকবে। তার সদিচ্ছা হচ্ছে, সে কুরআনের হাফেজা হবে। প্রয়োজনে যদি এর বিনিময়ে তার দেনমোহর মাফ করতে হয় সে তাই করবে। তবুও আপু হাফেজা হবেই। যেহেতু তার পড়াশোনা জেনারেল তাই এগুলোর ইচ্ছে পূরণের জন্য একজন হাফেজ আলেমই লাগবে তার। হাফেজ আলেম ছাড়া বিয়ে করবেন না সেই আপু।
আমি ঠিক এই জায়গাতেই আটকে যাই। পছন্দ হয়ে যায় আর আমি বায়োডাটা কিনে ফেলি। কেনার পরেই আমি আপুর মেইলে একটি মেসেজ পাঠাই- নিম্নে মেসেজটি দেওয়া হলো,
”আসসালামু আলাইকুম। আমি অমুকের ছেলে অমুক বলছি। আমার ঠিকানা অমুক ঠিকানায়। খুব আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি আপনার বায়োডাটা বেশ কয়েকবার পড়েছি আর আপ্লুত হয়েছি। আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে আমি আপনাকে হাফেজা বানানোর দায়িত্ব নিতে চাই। আপনি অবশ্যই জানাবেন।” পরিশেষে আপুর বাবার সাথেও কথা বললাম।
তারা দুইদিন সময় নিলেন। দুইদিন পরে আবারও নক করলাম। নক করার পর জানতে পারলাম তারা শহরেই কাউকে তালাশ করছেন। যেহেতু তারা অধিবাসী। সমস্যাটা এখানে না। শহরে চাইতেই পারেন এটাও সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে..
তারা চাচ্ছেন শহরের ধনীর দুলালী, প্রতিষ্ঠিত, ব্যবসায়িক, টাকা পয়সায় সয়লাব হ্যান্ডসাম সুপাত্র। এগুলো মুখে না বললেও কথার ধরণে এসবই বুঝা যাচ্ছিল। কথা শেষ করে ভাবছিলাম, এই বৌ আমার না। মনকে বলছিলাম- বাছা ঘরে ফিরে যাও।
আজকে শহরে দুচারটা ফ্ল্যাট থাকতো, ব্যংকে কয়েক কোটি টাকা থাকতো, সবসময় চলাফেরার জন্য একটা বিএম ডাব্লিও থাকতো তাহলে এমন দ্বীনি বোনরে হাফেজা বানানোর দায়িত্ব নেওয়া শোভা পাইতো। ইসলামে কুফু মিল রাখার একটা বিষয় আছে না!
~নাসরুল্লাহ জারিফ সাদমান
0 Comments