সাম্প্রতিক কালে গরুর গোশতের মূল্য আকাশছোঁয়া দামে পৌছালেও বাঙ্গালীর গরুর গোশত খাওয়া একেবারে বাদ যায়নি। চড়ামূল্যের জন্য বাঙ্গালীর প্লেটে গোশতের পরিমাণ কমেছে কিন্তু তা একেবারে কমে যায়নি।
প্রতি বছর ঈদুল ফিতর আসলে গ্রাম্য ভাষায় যেটা ছোট ঈদ, এই ছোট ঈদে কুরবানি নেই কিন্তু কুরবানির থেকে গরু য[বে]হ কম হয় না।
গ্রামের এই লোকেরা পুরো একটি বছর সাপ্তাহিক/মাসিক চাঁদা দিয়ে টাকা জমায়। যাকে গোশত ব্যাংক বলা চলে। বছর শেষে যখন ছোট ঈদ আসে তখন সারা বছরের জমানো টাকা দিয়ে গরু কিনে কুরবানী (য[বে]হ) করা হয়। তারপর সবাই নিজেদের টাকার পরিমান অনুযায়ী গোশত ভাগ করে নেয়।
হ্যাঁ এটাই সংস্কৃতি। বাঙ্গালীর হাজার বছরের সংস্কৃতি। গরুর গোশত খাওয়ার সংস্কৃতি।
“একবারে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই কিন্তু টাকা জমিয়ে কিনে খাবে, তবুও বাঙ্গালী গোশত খাবে।" আরো হাজার বছর টিকে থাকুক এই সংস্কৃতি।
- সুমন আহমাদ
0 Comments