পাঞ্জাবি পরা, দাড়িওয়ালা সরকারী ব্যাংকের ম্যানেজারকে এলাকায় সবাই স্যার ডাকে। গাড়ি থেকে নামে, মসজিদে নামাজ পড়ে মসজিদের সামনের ভিখারিদেরকে টাকাপয়সা দেয়।
সবাই তাকে সৎ হিসেবে জানে। লোকটা এখনো অবিবাহিত। তার জন্য পাত্রীর, প্রস্তাবের অভাব নেই দেখে ভাবছে এবার বিয়েটা করেই ফেলবে। এই পাত্রের মুরোদ এত বেশি যে সে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া লাগে না, তার কাছেই প্রস্তাব আসে।
অন্যদিকে মাস্টার্স পাশ করা ছেলেটার দ্বীনের বুঝ হওয়ার পর থেকে অনেক চাকরির সুযোগ ইচ্ছাকৃত হাতছাড়া করেছে শুধুমাত্র হারামের ভয়ে। ছোটখাটো একটা চাকরি পেয়েছে, খেয়ে-পরে আলহামদুলিল্লাহ দিন কেটে যায়। এলাকার একটা দ্বীনদার মেয়ের ব্যাপারে চারদিকে প্রশংসা শুনে দেখল তার কুফুর সাথে মিলে।
সাহস করে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেল। মেয়ের বাবা বলল, “হতচ্ছাড়া আমার মেয়েকে বিয়ে করার কথা বলো যে, তোমার কি সেই মুরোদ আছে? জানো আমার মেয়ের জন্য কোন কোন লেভেল থেকে প্রস্তাব আসে? তোমার মতো সামান্য চাকরিজীবীর এত দুঃসাহস হয় কীভাবে!” ছেলেটা চুপচাপ চলে আসলো।
কিছুদিন পর খবর পাওয়া গেল মেয়েটার বাবা জোর করে মেয়েটার বিয়ে সেই ব্যাংকারের কাছেই দিয়েছে৷ একসময় স্বামীর প্রভাবে মেয়ের দ্বীনদারিতা মিলিয়ে গেছে।
অপরদিকে শয়তান সেই মাস্টার্স পাশ করা ছেলেটাকে এখনো ওয়াসওয়াসা দেয়। মুরোদ তৈরি করলে তোমার এখন একজন দ্বীনদার স্ত্রী থাকতো। কেন সেই হারাম অফারগুলো ছাড়লে? কেন মানুষের কথায় হারাম থেকে দূরে আসলে?
বি:দ্র: এটা একটা গল্প। গল্পের নাম “মুরোদনামা”।
0 Comments