ধরুন, দুপুরে খাওয়ার শেষে এক পিস মাংস রয়ে গেছে। রাতে খাওয়ার সময় মাংসটা কাকে দেবেন? পরিবারে শুধু আপনারা দুজন আর ফুটফুটে এক সন্তান।
কমন যে চিত্রটি আমরা দেখতে পাই:
বাচ্চাকে পুরো মাংসটা দিয়ে দেওয়া হয়। আর বাবা মা দুজনে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে, সন্তানের খাওয়া দেখে তাদের মনটা ভরে যায়। আহা কি শান্তি!
আসলে যা করা দরকার ছিল:
রাতে ৩ জনই একসাথে খেতে বসুন। তার সামনেই মাংসটা সমান ৩ ভাগে ভাগ করুন। আর ৩ জনে ৩ টুকরা খেয়ে নিন।
বিশ্বাস করুন, বাচ্চাকে আস্ত মাংসটা খাওয়ানোর কোনো ফায়দা নেই। আপনার এই ভুলের কারণে তার ব্রেনে একটা ভুল মেসেজ আজীবনের জন্য সেট হয়ে যাচ্ছে।
অথচ, মাংসের টুকরোটা ভাগ করে খাওয়া তাকে শেখাবে কীভাবে অল্প জিনিসও সবার সাথে ভাগ করে খেতে হয়। তার অপজিটে থাকা মানুষগুলো খেয়েছে কিনা সেই ব্যপারে খেয়াল রাখার মানসিকতা তার মধ্যে জাগ্রত হয়। আর এই বোধ আজীবনের জন্য তার ব্রেইনে ঢুকে যায়।
এটা একেবারে ছোটবেলা থেকেই করা উচিত। বাচ্চা তার বয়স অনুযায়ী যতটুকু বোঝার ঠিকই বুঝবে। শিশুরা তাদের মতো করে সবকিছুই বুঝে নেয়।
ট্রিক্সটা কাজে লাগালেই দেখবেন, তাকে কিছু খেতে দিলে খাওয়ার আগে সে দেখবে বাবা মায়ের ভাগটা আছে কিনা!
বর্তমান সময়ে অনেক বাচ্চাদের দেখা যায় সবকিছু একেবারে নিজের করে পেতে চায়, তারই ভাই বা বোন পেল কিনা সেদিকে খেয়ালই রাখে না। যেন সবটাই তার চাই!
এই গল্পটি আমাদের শিক্ষা দেয় কীভাবে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ এবং ভাগাভাগির শিক্ষা গড়ে তোলা যায়। এটি পরবর্তীতে তাদেরকে জীবনে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করে।
0 Comments