মানুষের নজর যে সত্যি লাগে এইটার কিছু কাহিনী শুনাই চলেন -


মানুষের নজর যে সত্যি লাগে এইটার কিছু কাহিনী শুনাই চলেন -

১. একসময় কোমড় সমান ঘন কোঁকড়া চুল ছিলো। দুইটা বেনী করলে মনে হইতো মোটা মোটা সা/প। একবার এক খালাম্মা আমার চুল ধরে জোরে টেনে বলে," বাবাগো কি মোটা চুল!" ঐযে পড়া শুরু হইলো আর থামলো না। এখনো পড়তেই আছে। মাথায় যতটুকু চুল আছে সেইটা শুধু একটু যত্ন নেই বলে। 

২. আম্মাকে নিয়ে পোস্ট করলেই কোনো না কোনো বিষয়ে আম্মার সাথে সম্পর্ক খারাপ হইতো। ২/৩ দিন কথা হইতো না।  একবার আম্মার একটা স্ক্রিনশট দিয়ে কি জানি লিখসিলাম। এরপর টানা ৬দিন আমার সাথে আম্মার কিছু ঠিক ছিল না। 

৩. আমার স্কিন আল্লাহর রহমতে স্পট নাই৷ একবার একজন এক্কেবারে স্কিনে হাত বুলায় বলে বাবাগো তোমার স্কিন কি সুন্দর। এখন পর্যন্ত স্কিনে কি পরিমান ইস্যু হচ্ছে বলতে পারবো না। বাম্পস, ব্রেকাউট কিচ্ছু বাকি নাই। 

৪. পড়াশুনায় মনোযোগী হয়ে লাইব্রেরিতে থাকতাম। একজন বললো, ওয়াও, কিভাবে ম্যানেজ করো! এরপর থেকে এই অব্দি মনোযোগ আনতে পারতেসি না। 

৫. শাড়ির অবসেশন নিয়ে মানুষ এত কথা শুনাইসে! এখন শাড়ি পরতে মন চায় না। তাও জোর করে পরি। 

৬. অফিসে ২/৩ দিন ভালো গেলেই এক কলিগ এমনভাবে বলে যে, আপনাকে তো স্যার চোখে হারায়! এরপরই কিছু না কিছু শুনাবেই। কিছু না কিছু হবেই। কোনো না কোনো কাজের জন্য আমাকে স্যারের কাছে বকা খেতেই হবে। 

৭. আগে এই ২হাত দিয়েই সব ম্যানেজ করসি। এক্কেবারে সব। বাসা, অফিস, বিজনেস, পড়াশুনা, গান, শখ, প্রেম সব। প্রায় অনেকেই বলতো ভাই, তুমি কেমনে পারো! এখন? এখন একটা করলেই হয়রান লাগে। 

৮. একবার এক বান্ধুবীর সামনে দাঁড়ায় প্যানকেক বানাচ্ছিলাম। ও এমনভাবে বলসে সুন্দর হইসে যে এরপর থেকে আর প্যানকেক হয় না আমার হাতে। 

৯. মাঝে দিয়ে কয়েকদিন শাড়ি পরে ছবি দিসিলাম খুব। এরপর এমন বিছানায় পড়সি আর উঠতেই পারিনা। সারাদিন চেহারায় ক্লান্তি আর ক্লান্তি। অথচ বসেই থাকি বেশিরভাগ সময়। 

অনেকে হয়তো ইচ্ছা করে দেয় না নজর। কিন্তু এইযে কথার আগে ওয়াও, আয়হায়, বাবাগো, মাগো বললে নজর লেগেই যায়।  আরেকজনের কিছু ভালো লাগলে মাশাআল্লাহ বলবেন প্লিজ। আপনার জন্য সেই মানুষটার সুন্দর সময়, কাজ যাতে ভেস্তে না যায় এইটা মাথায় রাইখেন।

Post a Comment

0 Comments