আহমাদ তার নবজাতক শিশুটিকে মৃদুভাবে হাতে ধরে আছে, জানালা দিয়ে চাঁদের আলো ঘরের ভেতর ছড়িয়ে পড়ছে। পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ, শুধু শিশুটির ছোট ছোট নিঃশ্বাসের মৃদু শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ফাতিমা, কয়েক সপ্তাহের অনিদ্রা শেষে অবশেষে একটু বিশ্রাম নিতে পেরেছে। সারাদিনের ক্লান্তিতে নিজের অজান্তেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, চাদরে মোড়ানো ওর শান্ত মুখটি যেন অনেক দিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
আহমাদ তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে কৃতজ্ঞতা অনুভব করল। ফাতিমা তার প্রিয়তমা স্ত্রী — তাদের সন্তানের জন্য দিনের পর দিন যত্ন , নির্ঘুম রাত কিংবা অবিরাম খাওয়ানোর কোনো অভিযোগ তার নেই।
কিন্তু আহমাদ জানে, ফাতিমার একটু বিশ্রামের ঠিক কতটা বেশি প্রয়োজন। আজ রাতে তাই সে সিদ্ধান্ত নিল, ফাতিমার জন্য বিশ্রামের সুযোগ তৈরি করবে।
বললাম,"তুমি একটু আরাম করে ঘুমিয়ে নেও তো, বাবুকে রাতে আমি দেখছি..." ফাতিমার ক্লান্ত চোখ গুলি ছলছল করছিলো কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসায়।
ঘরের নিরবতায় আহমাদ বসল, শিশুটিকে বুকের কাছে রেখে বোতলে দুধ খাওয়াচ্ছিল।
তার মনে নানা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল—এই ছোট্ট শিশুটির জন্ম কেমন করে তাদের দুজনকেই বদলে দিয়েছে। এখন তারা আর শুধু আহমাদ আর ফাতিমা নয়, তারা এখন "মা" এবং "বাবা"। তাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি কাজ এখন এই ছোট্ট মানুষটিকে কেন্দ্র করে।
যখন শিশুটি বোতলের দুধ শেষ করে আহমদের কোলে ঘুমিয়ে পড়ল, আহমদের ঠোঁটে একটি নরম হাসি ফুটে উঠল। সে জানতো, এটা শুধু অসাধারণ এই জার্নির শুরু মাত্র...
নারীরা যেমন সব সময় হেল্প পায় না, তেমন খুবই দুঃখজনক সত্যি যে পুরুষরাও তাদের পরিশ্রমের ঠিকঠাক appreciation পায় না - যা তারা আসলেই ডিজার্ভ করে।
যাদের আছে এমন সঙ্গী, বিশেষ করে যাদের স্বামীদের ওয়ার্ক লোড কম হওয়ায় স্ত্রীকে হেল্প করতে পারেন তারা শুকরিয়া করুন কিন্তু ,যাদের একাই সামলাতে হয় তারা একদম ই মন খারাপ করবেন না আপুরা।
অনেকের হাজবেন্ড চাইলেও পারেন না, দেখা যায় বাইরের কাজের প্রেশার অনেক, আমাদের জন্যই তো তারা বাইরে কষ্ট করেন ❤️। আবার পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় একাই করতে হয়, আল্লাহর কাছেই উত্তম বিনিময় পাবেন সব কিছুর।
0 Comments