ছেলেকে বিয়ে দেবার পর কোনো কারণ ছাড়াই ছেলের মা ছেলের বউকে ‘প্রতিপক্ষ’ ভাবা শুরু করেন!
একজন ছেলে বিয়ের পর তার মধ্যে স্বাভাবিক পরিবর্তন আসবে। আগে হয়তো মা ঠিক করে দিতেন কী পরবে, কী পরবে না। এখন হয়তো সেই সাজেশন স্ত্রী দেয়। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যায় ছেলে স্ত্রীর পছন্দকে গুরুত্ব দেয়।
ছেলে বাইরে থেকে আসলে বাজার নিয়ে আসে। সাথে হয়তো স্ত্রীর জন্য আইসক্রিম, চকলেট নিয়ে আসে। কোনো কোনো মা আড়চোখে তাকিয়ে দেখেন ছেলে স্ত্রীর জন্য কী নিয়ে আসছে।
এখনকার ছেলে-মেয়ে বিয়ের পূর্বে বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতো বন্ধু-বান্ধবের সাথে।
স্বামীও চায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে যেতে। মা হয়তো বাইরের খাবার পছন্দ করেন না। একাধিকবার বলার পরও যাননি। ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে চায়। মাকে জানিয়ে গেলে মা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান যে, ছেলের এমন খরুচে স্বভাব তার পছন্দ হচ্ছে না। কথায় কথায় হয়তো বলেও ফেলেন।
আমাদের দেশে স্বাশুড়ি-বউমা এই শব্দ দুটো দ্বান্দ্বিক শব্দ হয়ে গেছে। বউমাও আস্তে আস্তে কর্তৃত্ব নিতে চায়, সুযোগ পেলে স্বামীকে কানপড়া দেয়। অথচ সে বুঝেশুনেই দেয় না, এমনি গল্প করে। এই কথাগুলো নিজের মা সম্পর্কে ছেলের মধ্যে কেমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে তা সে বুঝেই না।
📌 বেশিরভাগ ছেলে বিয়ের পর দেখতে পায় তার মা বদলে গেছেন!
মা কখনো ছেলেকে বউয়ের ব্যাপারে কথা শুনায়, বউ কখনো মায়ের ব্যাপারে ছেলের ওপর বিরক্তি ঝাড়ে।
অর্থাৎ, এই জায়গায় এসে ছেলে দুই কানে দুজনের কথা শুনতে হয়!
ছেলে তখন কী করবে?
📍 ‘মুমিনের বিয়ে ভাবনা’ কোর্সে ডাক্তার শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই এক্ষেত্রে একটি প্রাকটিকাল গাইডলাইন দেন।
ছেলে তার স্ত্রীকে বুঝাবে- “দেখো, তুমি তো শিক্ষিত, পড়ালেখা করেছো। মায়ের এই ব্যাপারগুলো একটু ইগনোর করো। মা কিছু বললে সামনাসামনি মেনে নাও। এতে আমাদের সবারই লাভ। ঝগড়া করে বা রাগ করে কিছু হবে না।”
আবার যদি দেখা যায় যে মায়ের আচরণ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা স্ত্রীর সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং খুব অযৌক্তিক কারণেই মা এগুলো করছেন, তখন ছেলে কখনোই মাকে বুঝাতে যাবে না। মাকে বুঝাতে গেলেই বিপত্তি বাঁধবে। যতো যাই হোক, বউমার ব্যাপারে ছেলের কাছে মা উপদেশ শুনতে চাইবে না।
এক্ষেত্রে ছেলে খুব ভালোভাবে কথা বলবে তার বাবার সাথে। বাবাও হয়তো এই অবস্থা পার করে এসেছেন। বাবাকে বুঝিয়ে বললে বেশিরভাগ বাবাই বুঝেন। তখন বাবা মাকে বুঝাবেন।
0 Comments