আমি এমন একজন ছেলেকে চিনতাম যে কিনা খুবই দ্বীনদার। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সুন্নাহও সে ছাড়ে না। রাতে মসজিদে অবস্থান করে, যেন তাহাজ্জুদের ওয়াক্তটা শুধুমাত্র রব্বের জন্যেই নির্ধারিত হয়। জুম্মার দিনের যেকোনো ছোট ছোট আমলও মিস করে না। প্রতিদিন ৩১৩ বার দরুদ পড়ে। তবে আমি এটার রেফারেন্স সম্পর্কে অজ্ঞাত ! তবে হাদিসে অগনিত বার দুরুদ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে পাওয়া গেলেও নির্দিষ্ট ৩১৩ বার নিয়ে কোন আমল সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় না।
যাই হোক যদি বলি এই ছেলেটা আমার বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড! বিশ্বাস হবে কি আপনার?!
তবে আমার বান্ধবীও চরম লেভেলের দ্বীনদার ! খাস পর্দা করে। ফরয বিধানগুলো পালন করার চেষ্টায় সদা ব্যস্ত থাকে। ছেলেদের চোখে কখনো চোখ রাখে না।
এখন যদি বলি সেই ছেলেটার গার্লফ্রেন্ড আমার এই বান্ধবী! এটা সব মানুষেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে!!
তবে দুঃখজনকভাবে এটাই সত্য। একবার ভেবে দেখুন শয়তান কত্ত সুন্দর একটা কম্বিনেশন তৈরি করেছে! না'উযুবিল্লাহ...
শয়তান তো জানে একজন দ্বীনদার ছেলে কোন মেয়ের মায়ায় আটকাতে পারে, আর একজন পর্দানশীন মেয়ে কোন ছেলের মায়ায় আটকাতে পারে!
শয়তান আগেই বলে রেখেছে সে কি কি করবে! তবে আমরা জেনেও বার বার একই ভুলগুলো করি আফসোস!
"সে (শয়তান)বললঃ
হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথ ভ্রষ্ঠ করে দেব।
" (১৫ঃ৩৯)
তবে রাব্বে কারিমের সতর্কবাণীটি সর্বদা আমাদের স্মরণে রাখা উচিত নয় কি?!
"হে বনী-আদম শয়তান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে এমতাবস্থায় যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলিয়ে দিয়েছি-যাতে তাদেরকে লজ্জাস্থান দেখিয়ে দেয়। সে এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না। আমি শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, , যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না।
(৭ঃ২৭)"
আল্লাহ না করুক এই অবস্থায় যদি এরা মারা যেত তাহলে কি অবস্থাটাই না হতো! আহ! অনায়াসেই জাহান্নামে প্রিয়তম আর প্রিয়তমা একত্রে থাকতো! আল্লহুম্মাগফিরলি...
তবে খুশির বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্র রহমতে বান্ধবী নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে ছেলেটির খবর জানি না। আশা করি আল্লাহ তাকেও হেদায়েত দিয়েছেন ইন শা আল্লাহ...
~ বিনতে লুৎফর রহমান
0 Comments